কাজ আমাদের জীবনের একটি বড় অংশ জুড়ে আছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু কাজই যখন একমাত্র লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায়, তখন জীবনের ছোট ছোট আনন্দগুলো হারিয়ে যায়। যেমন, সকালের চায়ের স্বাদ, বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, বা সন্ধ্যায় পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো—এই ছোট ছোট মুহূর্তগুলোই তো জীবনকে অর্থপূর্ণ করে তোলে। কাজের চাপে যদি আমরা এই সুখগুলো হারিয়ে ফেলি, তাহলে কি এটাকে সফলতা বলা যায়?
সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজের চাপ আর ডেডলাইনের ভিড়ে আমরা নিজেদের জন্য সময় বের করতেই ভুলে যাই। কিন্তু এই অসম ভারসাম্য আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর কী প্রভাব ফেলে? গবেষণা বলছে, কাজ ও জীবনের মধ্যে ভারসাম্য না থাকলে তা আমাদের জীবনে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। চলুন জেনে নিই, কেন এই ভারসাম্য এত গুরুত্বপূর্ণ এবং কীভাবে তা অর্জন করতে পারি।
গবেষণা যা বলে
এছাড়াও, স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণায় দেখা গেছে, সপ্তাহে ৫০ ঘণ্টার বেশি কাজ করা কর্মীদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক বেশি। আরও মজার বিষয় হলো, গবেষণায় দেখা গেছে, যারা কাজ ও জীবনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখেন, তারা শুধু সুখীই নন, তাদের কাজের দক্ষতাও অনেক বেশি।
কাজের চাপে যখন আমরা পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারি না, তখন সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হয়। ভারসাম্য বজায় রাখলে এই সম্পর্কগুলো আরও মজবুত হয়।
১. প্রথমেই নিজেকে প্রাধান্য দিন: আমরা অনেকেই ভাবি, কাজটা শেষ করলেই বিশ্রাম নেওয়া যাবে। কিন্তু এই ‘একটা কাজ শেষ করলেই’ এর কোনো শেষ নেই। তাই নিজের জন্য সময় বের করুন। দিনে অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুন, বই পড়ুন, বা যা ভালো লাগে করুন।
২. সময় ব্যবস্থাপনা: কাজের সময় কাজ, আর বিশ্রামের সময় বিশ্রাম—এই নিয়ম মেনে চলুন। কাজের সময় সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্যান্য ডিসট্রাকশন এড়িয়ে চলুন। এতে কাজ দ্রুত শেষ হবে, এবং অবসর সময়টা উপভোগ করতে পারবেন।
৩. না বলতে শিখুন: সব কাজ আপনার দায়িত্ব নয়। যখন দেখবেন কাজের চাপ বেশি, তখন সাহস করে ‘না’ বলুন। এটা আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি।
৪. পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান: জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ হলো সম্পর্ক। কাজের চাপে যেন এই সম্পর্কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
আপনার মতামত লিখুন :