
শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে। এর প্রভাবে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের একটি নির্মাণাধীন বহুতল ভবন ধসে পড়েছে। শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুরে দুই দফায় ভূমিকম্পের আঘাতে এ ঘটনা ঘটে।
থাইল্যান্ডের জাতীয় জরুরি চিকিৎসা ইনস্টিটিউট বলছে, এ ঘটনায় অন্তত একজনের মৃত্যু হয়েছে। আরো বেশ কয়েকজন শ্রমিককে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ব্যাংকককে “জরুরি অঞ্চল” হিসেবে ঘোষণা করেছেন। পেতোংতার্ন সিনাওয়াত্রার কার্যালয় থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে তাৎক্ষণিকভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ব্যাংকককে জরুরি অঞ্চল ঘোষণা করতে এবং দেশের সব প্রদেশকে জাতীয় জরুরি পরিস্থিতি হিসেবে এটি বিবেচনা করতে নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে প্রয়োজনে জনসাধারণের সহায়তা দ্রুত নিশ্চিত করা যায়।
দেশটির ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে উদ্ধার কাজের জন্য এরই মধ্যে এক বিবৃতির মাধ্যমে ‘জরুরি অবস্থা’ জারি করেছে সেখানকার সেনাবাহিনী।
ভূমিকম্পের সময় ভবন ধসে পড়ার ঘটনাটির ভিডিও এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেখা যায়, ভূমিকম্পের সময় একটি নির্মাণাধীন বহুতল ভবন সম্পূর্ণরূপে ধসে পড়ছে। আশপাশে থাকা স্থানীয়রা মোবাইলে এ ঘটনার ছবি ও ভিডিও নিচ্ছেন।
আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, বহুতল ভবনের উপরে সুইমিং পুলের পানি সেখান থেকে ছিটকে ভবনের বাইরে পড়ছে। ঘটনাটি কিছুটা সুনামির সময় পানির অস্থিরতার মতোই।
আরো বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরছে। এর কোনোটিতে ভবনকে অস্বাভাবিকভাবে দুলতে দেখা গেছে, কোনোটিতে আবার ভবনের ছাদ থেকে আস্তরণ খসে পড়তে কিংবা সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এমনটা দেখা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল মিয়ানমারের সাগাইংয়ে। একই স্থানে পর পর দুবার ভূমিকম্প হয়। রিকটার স্কেলে প্রথমবার ১২টা ২০ মিনিটে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার এবং দ্বিতীয়বার ১২টা ৩২ মিনিটে ৬ দশমিক ৪ রিকটার স্কেলে অনভূত হয়। তবে ব্যাংকক পোস্ট বলছে, থাইল্যান্ডে অনুভূত এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৪।
আপনার মতামত লিখুন :