পাঁচ বছরে এসইউভির বিক্রি বেড়েছে দ্বিগুণ


আজকের দেশ ২৪ প্রকাশের সময় : অক্টোবর ২০, ২০২৫, ১২:১২ পূর্বাহ্ণ
পাঁচ বছরে এসইউভির বিক্রি বেড়েছে দ্বিগুণ

দেশে এসইউভি বা স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যাল গাড়ির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। গত পাঁচ বছরে দেশে এ ধরনের গাড়ির বিক্রি বেড়েছে প্রায় ৭৭ শতাংশ। এ ছাড়া পুরো বিশ্বে ২০২৩ সালে যত গাড়ি বিক্রি হয়েছে, তার ৪৮ শতাংশ এসইউভি মডেলের গাড়ি।

২০২০ সালে দেশে এসইউভি ধরনের গাড়ি

নিবন্ধিত হয়েছে ৪ হাজার ৮৮৮টি। ২০২৪ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৬৪৮। অর্থাৎ পাঁচ বছরের ব্যবধানে এসইউভি গাড়ির নিবন্ধন বেড়েছে প্রায় ৭৭ শতাংশ। বিআরটিএর হিসাবে, চলতি বছরের ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত নিবন্ধিত হয়েছে ৮ হাজারের বেশি এসইউভি

খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গত দুই দশকে দেশের অর্থনীতি বড় হয়েছে, তাতে একটি শ্রেণির মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। এ ছাড়া এসইউভি গাড়ি দূরপাল্লার ভ্রমণের জন্য বেশ আরামদায়ক। আবার পারিবারিকভাবে ব্যবহারের জন্য এই গাড়ির কদর বেশি ব্যবহারকারীদের মধ্যে। যারা একবার সেডান গাড়ি ব্যবহার করেছেন, তাঁরা এসইউভি গাড়ি ব্যবহারে বেশি আগ্রহ দেখান।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে দেশে এসইউভি ধরনের গাড়ি নিবন্ধিত হয়েছে ৪ হাজার ৮৮৮ টি। ২০২৪ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৬৪৮। অর্থাৎ পাঁচ বছরের ব্যবধানে এসইউভি গাড়ির নিবন্ধন বেড়েছে প্রায় ৭৭ শতাংশ। বিআরটিএর হিসাবে, চলতি বছরের ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত নিবন্ধিত হয়েছে ৮ হাজারের বেশি এসইউভি। ২০২০ সাল থেকে চলতি বছরের ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত নিবন্ধিত এসইউভি গাড়ির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল টয়োটা ব্র্যান্ডের, এই সংখ্যা ২৩ হাজারের বেশি। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে নিশান ব্র্যান্ড, এই সংখ্যা প্রায় ৬ হাজার।

ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির (আইইএ) তথ্যমতে, ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী গাড়ি বিক্রির ৪৮ শতাংশই ছিল এসইউভি। একই বছরে পুরো বিশ্বের রাস্তায় চলা প্রতি চারটি গাড়ির মধ্যে একটি এসইউভি। ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে নতুন নিবন্ধিত বৈদ্যুতিক গাড়ির ৫৫ শতাংশের বেশি ছিল এসইউভি।

আইইএর তথ্যানুযায়ী, পুরো বিশ্বে ২০১৪ সালে প্রচলিত জ্বালানিচালিত এসইউভি গাড়ি বিক্রি হয় ১ কোটি ৮১ লাখ। যেখানে বৈদ্যুতিক এসইউভি গাড়ি বিক্রি হয় ৪০ লাখ। ২০২৩ সালে জ্বালানিচালিত এসইউভি গাড়ি বিক্রি হয় ২ কোটি ৯৪ লাখ। এ ছাড়া বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি হয় মোট ৭৮ লাখ। ২০১৪ সালে সেডান ধরনের গাড়ি বিক্রি হয় ৬ কোটি ৫ লাখ। ২০২৩ সালে এসে সেডান ধরনের গাড়ি বিক্রি কমে হয়েছে ৪ কোটি। অর্থাৎ সেডানের বিক্রি কমলেও এসইউভির বিক্রি বেড়েছে। রিকন্ডিশন্ড গাড়ি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) তথ্যমতে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশে রিকন্ডিশন্ড এসইউভি গাড়ি আমদানি হয়েছে ১ হাজার ২০৯ টি। গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ হাজার ৩৯২।

বিআরটিএর তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সাল থেকে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত বিএমডব্লিউ ব্র্যান্ডের সেডান গাড়ি বিক্রি হয়েছে ১৬৯ টি। আর বিএমডব্লিউর এসইউভি মডেলের গাড়ি বিক্রি হয়েছে ৩০১ টি। এই সময়ে অডি ব্র্যান্ডের সেডান গাড়ি বিক্রি হয়েছে মাত্র ৯৭ টি। আর একই ব্র্যান্ডের এসইউভি গাড়ি বিক্রি হয়েছে ১৪৫ টি।