রিজার্ভ বাড়ানোর পদক্ষেপের প্রশংসা আইএমএফের


আজকের দেশ ২৪ প্রকাশের সময় : অক্টোবর ২৬, ২০২৫, ৯:৪২ পূর্বাহ্ণ
রিজার্ভ বাড়ানোর পদক্ষেপের প্রশংসা আইএমএফের

বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানোর পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। রিজার্ভ বাড়ার পদ্ধতি দেশের নিজস্ব বিনিময় হার নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা পর্যালোচনা করবে মিশন–জানিয়েছেন সংস্থাটির এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের উপপরিচালক থমাস হেলব্লিং। গত শুক্রবার হংকংয়ের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের ওপরে আইএমএফের আউটলুক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। এতে আরও বক্তব্য দেন এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের সহকারী পরিচালক লি চুঁই।

মুদ্রাবিনিময় ব্যবস্থাপনায় সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বাজার থেকে ডলার কিনেছে। এ বিষয়টিতে আইএমএফের পর্যবেক্ষণ জানতে চাইলে থমাস হেলব্লিং বলেন, বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যে দুর্বলতা কাটাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পদক্ষেপকে স্বাগত জানায় আইএমএফ। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ বাড়ানোর উদ্যোগও ঠিক রয়েছে। তবে ঋণ কর্মসূচির আওতায় পঞ্চম পর্যালোচনায় শিগগির ঢাকায় যাবে একটি মিশন। বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর কীভাবে মুদ্রাবিনিময় হার ব্যবস্থাপনা করা হচ্ছে, তারা সেটি বুঝতে পারবেন।

তিনি আরও বলেন, রিজার্ভ শক্তিশালী করা এবং বাংলাদেশের বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যের ঝুঁকি কমানোই আইএমএফের ঋণ কর্মসূচির অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। তবে রিজার্ভ বাড়ার পদ্ধতিগুলো দেশের বিনিময় হার নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তা দেখা হবে।

আইএমএফের সঙ্গে বাংলাদেশের ৫৫০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচি চলমান। ইতোমধ্যে এর আওতায় পাঁচ কিস্তিতে মোটি ৩৬০ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। পরবর্তী তথা ষষ্ঠ কিস্তির শর্ত বাস্তবায়ন পর্যালোচনা আগামী ২৯ অক্টোবর আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা সফরে এসে প্রায় দুই সপ্তাহব্যাপী অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবে। প্রতিনিধি দল অর্থ মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়সহ বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করবে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ডিসেম্বরের শেষে বা জানুয়ারির প্রথমার্ধে ষষ্ঠ কিস্তি ছাড় করার কথা ছিল। ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর যে রাজনৈতিক সরকার আসবে, তারা আইএমএফের ঋণের শর্ত মানবে কিনা, সেই নিশ্চয়তা নিয়ে অর্থ ছাড় করতে চায় সংস্থাটি।