
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, গাজা শহরের সাবরা এলাকায় চারজন এবং খান ইউনিসে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া সমগ্র অঞ্চলে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় যুদ্ধবিরতি বড় ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
নেতানিয়াহুর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘সাম্প্রতিক নিরাপত্তা পরামর্শের পর’ প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে তৎক্ষণাৎ শক্তিশালী হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন।’
গাজা শহর থেকে আল-জাজিরার প্রতিবেদক হানি মাহমুদ জানিয়েছেন, আল-শিফা হাসপাতালের পেছনে একটি ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে। তিনি বলেন, ‘গাজার আকাশে ড্রোনসহ ব্যাপক সামরিক কার্যক্রম দেখা গেছে। স্থানীয়রা হামলাকে ‘ভয়ঙ্কর’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। হাসপাতালের রোগী ও কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেন, গাজায় ইসরায়েলের হামলার পরও যুদ্ধবিরতি স্থিতিশীল আছে। তিনি বলেন, ‘ছোটখাটো সংঘাত হতে পারে, তবে প্রেসিডেন্টের মধ্যস্থতায় চুক্তি বজায় থাকবে।’
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ দাবি করেছেন, হামাস তাদের সেনাদের লক্ষ্যবস্তু করেছে এবং মরদেহ ফেরতের চুক্তি লঙ্ঘনের জন্য ‘কঠিন মূল্য’ দিতে হবে।
হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য সুলাইহ আল-হিন্দি বলেছেন, তারা চুক্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বন্দিদের মরদেহ উদ্ধার করা তাদের জন্য ‘কঠিন’ হয়েছে। হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে এবং বাকি মৃতদেহ ফেরতের দায় ইসরায়েলের।
হামাস আরো জানিয়েছে, রাফাহে যে গুলি-হামলা হয়েছে, তার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা ইসরায়েলের হামলাকে ‘যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন’ হিসেবে দেখেছে।
রাফাহ সীমান্তে গুলির আওয়াজ শোনা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এটি ইসরায়েলি সেনা ও ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ। পরে আর্টিলারি শেলিং শুরু হয় এবং খান ইউনিস শহরের পূর্ব অংশে বিস্ফোরণ শোনা গেছে। এক ইসরায়েলি সৈনিক আহত হয়েছেন।
হামাস ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি কিছু আরব ও মুসলিম দেশ ইসরায়েলকে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে।
হামাসের সামরিক শাখা ঘোষণা করেছে, ইসরায়েলের বন্দির মৃতদেহ ফেরত দেওয়া এখন স্থগিত থাকবে। তারা জানিয়েছে, ইসরায়েলের যেকোনো উত্তেজনা মৃতদেহ উদ্ধার প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করবে।
আপনার মতামত লিখুন :