
বাংলাদেশজুড়ে আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক সরগরম “গণভোট” ইস্যুতে। সকাল থেকে দেশের প্রায় প্রতিটি নিউজ ফিডে ঘুরছে একটাই প্রশ্ন—
“আপনি কি গণভোটের পক্ষে? হ্যাঁ না?”
নেটিজেনদের একাংশ বলছেন, জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণের মাধ্যমেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করা উচিত। অন্যদিকে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন— “সবাই কি জানে, গণভোট আসলে কী?”
জনমতের ঝড়
আজ সারাদিন ধরে হাজারো পোস্ট, রিলস, কমেন্টে ছড়িয়ে পড়েছে “হ্যাঁ” এবং “না”–র প্রতীকচিহ্ন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সাধারণ ব্যবহারকারীরাও নিজেদের মতামত জানাচ্ছেন উচ্ছ্বাসভরে।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন—
“দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ— এর চেয়ে বড় গণতন্ত্র আর কী হতে পারে!”
অন্যদিকে আরেকজন মন্তব্য করেছেন—
“গণভোটের প্রশ্নটা স্পষ্ট না হলে, এটি নতুন বিভ্রান্তির জন্ম দেবে।”
মূল ইস্যু কোথায়?
সম্প্রতি আলোচনায় এসেছে “জুলাই সনদ” ও তার প্রস্তাবিত সংবিধান সংশোধন বিষয়ক উদ্যোগ। বিশেষজ্ঞ ও রাজনীতিবিদদের একাংশ মনে করছেন, এসব পরিবর্তনের বৈধতা নিশ্চিত করতে গণভোট প্রয়োজন।
তবে সমালোচকরা বলছেন, জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি না করেই এমন ভোট আয়োজন করলে তা গণতন্ত্র নয়, বরং “রাজনৈতিক কৌশল” হয়ে উঠতে পারে।
ভাইরাল ঢেউয়ে রাজনীতি
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন,
এই “হ্যাঁ–না” বিতর্ক কেবল সামাজিক মাধ্যমে নয়, মাঠের রাজনীতিতেও নতুন উত্তাপ তৈরি করেছে।
অনেকে বলছেন— এটা হতে পারে আসন্ন নির্বাচনের আগাম মনস্তাত্ত্বিক প্রস্তুতি।
রাজনৈতিক দলগুলোও নীরবে অবস্থান নিচ্ছে। কেউ “জনগণের সিদ্ধান্ত”কে স্বাগত জানাচ্ছে, কেউ আবার “সময় উপযুক্ত নয়” বলে সতর্ক করছে।
বিশ্লেষকদের মতে
রাজনীতিবিদদের মতে,
“যদি গণভোট হয়, তাহলে সেটি দেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে বড় একটি অধ্যায় খুলবে।”
তবে আইনবিদরা সতর্ক করেছেন—
“প্রশ্নের ধরন ও ভোট প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত না হলে এটি বিতর্কিত হয়ে উঠতে পারে।”
আপনার মতামত লিখুন :