প্রতারণার অভিযোগ আদালতে শাহরুখ-অজয়-টাইগার, সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার ঝড়


আজকের দেশ ২৪ প্রকাশের সময় : মার্চ ১৬, ২০২৫, ২:৫০ অপরাহ্ণ /
প্রতারণার অভিযোগ আদালতে শাহরুখ-অজয়-টাইগার, সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার ঝড়
 

এবার যেন চুন খেতে গিয়ে মুখ পুড়লেন বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় তিন তারকা শাহরুখ খান, অজয় দেবগন এবং টাইগার শ্রফ। সম্প্রতি পান মশলার বিজ্ঞাপনের কারণে আইনি জটিলতায় জড়ালেন এই তিন তারকা। এঘটনায় জয়পুর আদালতের পক্ষ থেকে তাদের প্রত্যেককে আলাদা আলাদা নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আদালত মতে, তারা ভোক্তাদের বিভ্রান্ত করেছেন। এই বিভ্রান্ত করার অভিযোগেই তিন অভিনেতাকে নোটিশ দেওয়া হল।

ভারতের জয়পুরের ক্রেতা বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের পক্ষ থেকে দেওয়া ওই আইনি নোটিশে বলা হয়েছে— শাহরুখ খান, অজয় দেবগণ এবং টাইগার শ্রফ অভিনীত পানমশলার বিজ্ঞাপনে দেখানো হয়েছে যে পণ্যের প্রতি দানায়-দানায় কেশর রয়েছে। কিন্তু এমন দাবি নিছকই বিভ্রান্তিকর এবং অবাস্তব।
আলোচিত সেই বিজ্ঞাপনে বলা ‘দানে দেনে মে হ্যায় কেশর কা দম’এই ট্যাগ লাইন ব্যবহার করা হয়। আর এই নিয়েই আপত্তি জানিয়েছেন জয়পুরের বাসিন্দা যোগেন্দ্র সিং বাদিয়াল। মুলত এই ট্যাগ লাইনের বিরুদ্ধেই তাঁর অভিযোগ। বিভ্রান্তিকর এমন বিজ্ঞাপন শোনার পর তিনি ভোক্তা ফোরামের দ্বারস্থ হন। ভোক্তা ফোরামের চেয়ারম্যান গিয়ারসিলাল মীনা এবং সদস্য হেমলতা আগরওয়াল নোটিশটি জারি করেন।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী বলেন, কেজি প্রতি কেশরের দাম চার লক্ষ টাকা, সেখানে মাত্র ৫ টাকা দামে প্রতি প্যাকেট পানমশলা বিক্রি করা হয়। যদি সত্যি কেশর থাকত তাহলে ওই দামে দেওয়া কখনওই সম্ভব হত না। তাছাড়াও কেশর স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, কিন্তু এই পানমশলা মোটেও স্বাস্থ্যের উপকারী নয় বরং ক্ষতিকর। তবুও কেবল বিক্রি বাড়াতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে পানমশলা কোম্পানিটি।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে বিজ্ঞাপনের দাবির ব্যাখ্যা চেয়ে ওই সংস্থা, সংস্থার কর্মকর্তা ও অভিনেতাদের আদালতের দারস্থ হতে বলা হয়েছে। সেখানে তাঁদের আগামী ১৯ মার্চ তারিখ হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। এমনকি ত্রিশ কার্যদিবসের মধ্যে তাঁদের জবাবদিহি করারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তবে এ নিয়ে তিন তারকা: শাহরুখ, অজয় এবং টাইগার শ্রফ এখনও কোনও মন্তব্য করেননি।
এদিকে এমন ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সোরগোল শুরু হয়েছে। তিন অভিনেতার এমন অবিবেচনামূলক কার্যক্রমের ফলে নানা রকম সমালোচনায় বিদ্ধ তারকারা। লোকনাথ নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন,’শেষমেষ টাকার এতোই অভাব দেখা দিলো যে শাহরুখেরও মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিতে হলো?’ আরেকজন লিখেছেন, ‘টাকার জন্য এরা পরিবারকেও বিক্রি করে দিতে পারবে’। শ্যামল নামে একজন লিখেছেন, এদের জীবনের একটাই উদ্দেশ্য-টাকা টাকা এবং টাকা’।
প্রসঙ্গত এবারই প্রথম নয় এর আগেও এই বিজ্ঞাপন নিয়ে বেশ কয়েক বার তৈরি হয়েছিল একাধিক বিতর্ক। তা কোট পর্যন্তও পৌঁছেছিল। তখন অজয় ​​দেবগন, অক্ষয় কুমার এবং শাহরুখ খানকে পানমশলার বিজ্ঞাপনের জন্য সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। এই সব আইনি জটিলতার জেরে বিজ্ঞাপনে থেকে সরে গিয়েছিলেন অভিনেতা অক্ষয় কুমার।